আপনার কথাটি অত্যন্ত যথার্থ। কারো সাথে সাক্ষাতে হাসিমুখে কথা বলা এবং কোমল ব্যবহার করা মানুষের ব্যক্তিত্বের একটি মহৎ গুণ। ইসলাম ধর্ম এবং সামাজিক শিষ্টাচার—উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিচে এর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো:
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "তোমার ভাইয়ের দিকে হাসিমুখে তাকানোও একটি সদকা।" (সুনানে তিরমিজি)। অর্থাৎ, টাকা-পয়সা খরচ না করেও শুধুমাত্র সুন্দর আচরণের মাধ্যমে সওয়াব অর্জন করা সম্ভব।
২. রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সুন্নাত:
নবীজি (সাঃ) সবসময় সাহাবীদের সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী ও কোমলভাষী ছিলেন। তিনি কখনো কারো সাথে কর্কশ ভাষায় কথা বলতেন না। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে রাসুল (সাঃ)-এর কোমল আচরণের প্রশংসা করে বলেছেন, "আল্লাহর দয়ায় আপনি তাদের প্রতি কোমলহৃদয় হয়েছিলেন..." (সূরা আলে ইমরান: ১৫৯)।
৩. পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়:
হাসিমুখ ও মিষ্টি কথা মানুষের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে দেয় এবং ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। কর্কশ ব্যবহারে মানুষ দূরে সরে যায়, কিন্তু নম্র ব্যবহারে কঠিন হৃদয়ের মানুষও আপন হয়ে যায়।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন, "মানুষের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলো।" (সূরা বাকারা: ৮৩)।
৫. মানসিক প্রশান্তি:
হাসিমুখে কথা বললে নিজের মনও ভালো থাকে এবং অপরদিকের মানুষটিও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এটি একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই উত্তম গুণের অধিকারী হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
0 Comments