দ্ব্যার্থবোধক শব্দ পরিহার কর {সূরা ২ বাকারা আয়াত-১০৪} আরবি বাঃলা উচ্চারণঃ

সূরা ২ বাকারা আয়াত-১০৪} আরবি বাঃলা উচ্চারণঃ

হে মুমিনগণ! ‘রায়িনা' (দ্ব্যর্থবোধক এনি, এ সমারে শব্দ) বলোনা। 'উনযুরনা' (সম্মান জনক শব্দ) বল এবং শুনতে থাক। শ্চয়ই,কাফেরদের জন্য রয়েছে বেদনা দায়ক শাস্তি।

ইয়া–-আইয়্যুহাল্ লাযীনা আ-মানূ লা-তাকূ লূ রা-’ইনা-আকূ লূন্ জুর্’না-অসমা’উ: অলিল্ কা-ফিরীনা ‘আযা-বুন্ আলীম্।

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقُوۡلُوۡا رَاعِنَا وَقُوۡلُوا انۡظُرۡنَا وَاسۡمَعُوۡا ؕ وَلِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ

---

আলোচ্য আয়াতে রাসূল করীম [সঃ] এর মজলিশে ইসলাম বিরোধী তথা ইহুদী ও মুনাফিকদের স্বরূপ উম্মোচন করা হয়েছে এবং মুমিনদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। ইহুদী ও মুনাফিকরা সর্বাত্মক চেষ্টা করত রাসূল কারীম [সঃ] -এর মর্যাদাহানী করার এবং কখনো কখনো একাজে স্কুল পদ্ধতি অবলম্বনেও দ্বিধা করতনা।

কখনো কখনো তারা উচ্চস্বরে একটি শব্দ উচ্চারণ করত আবার সাথে সাথে নিম্নস্বরে অন্য শব্দ উচ্চারণ করত। এতে তারা নিজেদের মনের হিংসা-বিদ্বেষ ও আক্রোশ চরিতার্থ করত।

আর কখনো কখনো তারা এমন শব্দ ব্যবহার করত যার বহুবিধ ব্যবহার থাকে বিশেষতঃ যাকে অসম্মানজনক অর্থেও ব্যবহার করা যায়। এই ধরনের একটি শব্দ হচ্ছে 'রায়িনা' যার বাহ্যিক অর্থ আমাদের দিকে মনোযোগ দিন, আমাদের কথা শুনুন। কিন্তু অন্য অর্থ আমাদের রাখাল।

ইহুদী ও মুনাফিকরা এই শব্দটি রাসূল করীম [সঃ] এর বক্তব্যে বিঘ্ন ঘটানোর জন্য এবং তাকে হেয় করার জন্য বক্তব্যের মাঝপথে এই শব্দটি বলত ।

তাই আলোচ্য আয়াতে এই শব্দটির প্রয়োগ নিষিদ্ধ করে তার পরিবর্তে একটি সম্মানজনক শব্দ 'উনযুরনা' যার অর্থ আমাদেরকে বুঝিয়ে দিন বলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং সাথে সাথে মনোযোগ সহকারে শুনতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন বক্তব্যের মাঝে একথাও বলতে না হয়।

অতএব আমরা এই আয়াতে এটাই শিক্ষা পাইযে আমরা এমন শব্দ প্রয়োগে বিরত থাকতে হবে যাকে শত্রুরা অন্য কোন খারাপ অর্থ করতে পারে এবং আমাদের উচিত মনোযোগ সহকারে দায়িত্বশীলদের/শিক্ষকদের কথা শুনা, কথার মাঝখানে, এমন কোন কথা না বলা যাতে মন অন্য কোন দিকে ঘুরে যেতে পারে ।

---

আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।

সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।

সুনানে ইবনে মাজহা সবগো সহিহ হাদিস দেখুন।

আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।

---