‘ন্যায়পরায়ণ শাসক’ বা একজন একজন ইনসাফগার সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়পরায়ণ শাকসক বলতে একজন ব্যক্তিকে বর্ণনা করেন, সুন্দর দেশ বা সমাজতান্ত্রিক দল মত, ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেকে ন্যায়বিচার করেন এবং ন্যায়বিচার করেন।
একজন ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো বর্ণনা করা
১. ন্যায়বিচার ও নির্পেক্ষতা: তিনি বিচার বা গ্রহণে স্বজনপ্রীতি বা আবেগের বশবর্তী হন না। অপরাধী যেই, তাকে শাস্তি দেন এবং নির্দোষ করেন।
২. ব্যক্তিদিহিতা: তিনি নিজেকে জনগণের সেবক করেন এবং তার জনগণের গণনার এবং (ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে) সামনের কাছে থাকতে চান।
৩. প্রজাদের কল্যাণ: নিজের সুখ-শান্তির চেয়ে তিনি জনগণের নিরাপত্তা, খাদ্য এবং চাহিদাকে প্রাধান্য দেন।
৪. সততা ও আমানতদারি: রাষ্ট্রের মালিককে তিনি জনগণের আমানত মনে করেন এবং তা ব্যয় বা আত্মসাৎ করেন না।
#রিয়াদুস_সালেহীন দ্বিতীয় খণ্ড অনুচ্ছেদঃ৮৯ ন্যায়পরায়ণ শাসক।
ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ:
ইসলাম ধর্ম ন্যায়পরণ শাসকের মর্যাদা অত্যন্ত পছন্দতে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন সাত শ্রেণীর মানুষ আরশের ছায়া, তাদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি ‘নয়পরায়ণ সাক’।
ইতিহাসে হযরত উমর (রহ.) এবং উমর বিন আব্দুল আজিজ (রহ.) কে পরায়ণ শাসকের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হয়। হযরত উমর (রা.) এর সেই বিখ্যাতটি সেরাটি সর্বজনবিদ—"ফোরাত তীরে যদি একটি আক্রমণ না মারা যায়, তবে কেয়ার দিন উমরকে তার জন্য অধিকারীদিহি করতে হবে।"
সংক্ষেপে, ন্যায়পরায়ণ শাসক সর্বশক্তিমান রহম এবং একটি শক্তি ও শান্তিময় সমাজের মূল ভিত্তি।

0 Comments