Ticker

10/recent/ticker-posts/

সূরা ফাতিহার আলোচনা।

সূরা ফাতিহার আলোচনা।

সূরা ফাতেহা সাতটি আয়াতের সমষ্টি। প্রথম তিন আয়াতের আয়াত ও আয়াতের প্রথম উল্লেখের জন্য এবং দ্বিতীয় আয়াত সহ শেষ বান্দাহর জন্য। সূরার প্রথম আয়াতঃ

الحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

(সর্ববিধি প্রশংসা প্রশংসার জন্য নিখিল দেশগুলি প্রভূ-প্রতিপালক)

নিজেকে দেখতে, এর অর্থ ঐচ্ছিক প্রযুক্তি সাধনের উপর মৌখিক প্রশংসা ব্যাক্ত করা। মৌখিক প্রশংসা বলে যে প্রশংসা করে তা প্রকাশ করা হয়। অবিলম্বে যাকে “অবস্তর ভাষা” বলা হয়, সত্যঃ তা কৃতজ্ঞতার এক প্রকা র ঐচ্ছিক প্রযুক্তি বলে এমন কাজই করা হয়েছে যা মানুষ আপন করতে চায়। আর, যে ক্ষমতা বা উত্তম দলের মানুষের হাত নেই যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ইত্যাদি, এমন বিষয়ের উপর বিবেচনা করা হাম্মদকে বলা হয় না।

হামদ এবং শুক্রদু-ভয় এর মধ্যে একই রকমঃ এত হামদের মধ্যে গুণাবলী বর্ণনা সহ প্রশংসিত তার মাদ্‌হ ও প্রশংসা অন্তর্ভুক্ত থাকে, তা প্রশংসাকারীর প্রতি কোন এসানের ব্যবহার সাধিত অথবা ব্যবহার করে।আর, শুক্র কেবল কৃতজ্ঞের প্রতি এহানসানের মাধ্যমেই থাকে। এ দিক দিয়ে শুকরে চেয়ে হামদ সংখ্যা। কানা, হাম্মদ এর মধ্যে গুণাগুণ-বলী ওহসান দুইই অন্তর্ভুক্ত।

তাই, আল্লাহ পাকের হাম্মদ করা হয় তাঁর সর্বসুন্দর নাম সমূহ পূর্বাপর এবং তাঁর উপরে উপরে। এই জন্য আল্লাহপাক বলেন

 الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِى لَمْ يَشْ خِذْ وَلَدًا


"আল্লাহ তা'আলারই সকল বর্ণনা তাঁর সন্তানের কোন বানান নি...।" (সূরা-ইসরা, ১১১) আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ

"আল্লাহ তা'আলারি সকলের আলোচনার আকাশ মন্ডলী ও প্রায় বর্ণনা করেছেন"।(সূরা আল-আনআম-১)



এই পবিত্র কোরআন শরীফে আরো অনেক আয়াত রয়েছে।শুক্র কেবলমাত্র দান বা অনুগ্রহের মাধ্যমেই থাকে। তাই, এদিক দিয়ে এর আবেদন আমরা হামদের চেয়ে সীমিত। তবে, তার আবেদন অন্তর, হাত ও ভাষা মাধ্যমে ব্যাক্ত হতে পারে। এই জন্য ভুলপাক লেখক।

اعْمَلُوا ءَ الَ دَاوُدَ شُكْرًا

“হে দাউদ বংশধর গণ, কৃতজ্ঞতা তোমরা নেক কাজ করে যাও”। (সাবা-১৩) পক্ষান্তরে, হামদ কেবল অন্তর এবং ভাষাই ব্যাক্ত করা হয়। এই দিক দিয়ে শুক্র তার বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা আরও টার্গেট এবং হামদ তার মন্তব্যের মাধ্যমে আরও উত্তম।এর আলিফ ওলাম সার্বিক বা বর্গীয় অর্থে।

অন্য সর্ববিধান প্রকাশের অন্তর্গত এবং সবই আল্লাহর জন্য, অন্যের জন্য নয়। এমন সব কাজ মানুষের হাতে নেই যেমন মানুষ আকাশ চান, মাঝে মাঝে, মৃদু ও আকাশ এবং জীবিকা প্রদান ইত্যাদি, এই জাতীয় ঐক্যের নেতার প্রশংসা করতে চান।

আর, যে সব খবরের উপর মখলুক প্রশংসা কুড়ায়, যেমন, নেক বান্দাহ ও হন নবী-রাসূল গণের জন্য সকল প্রশংসিত, এইভাবে কেউ কোন মঙ্গল কাজ করে, বিশেষ করে তা যদি আপনার উদ্দেশ্যে থাকে, এই সমস্ত প্রশংসাও আল্লাহ পাকের প্রাপ্য। 

তা, এই অর্থে যে, আল্লাহ পাকই এই দৃষ্টিকে নির্দেশ করেছেন, তাকে এই কাজ করার উপকরণ প্রদান করা হয়েছে এবং তাকে এই নির্দেশের উপর ও সমর্থ করেছেন।এ ছাড়া আরো অনেক অনুগ্রহ দান করেছেন যার কোনো অবর্তমানে এই ব্যক্তি প্রশংসিত হতে পারে না। এই দৃষ্টিভঙ্গি সমস্ত প্রশংসারই প্রাপ্য।

لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ

"আল্লাহর জন্য নিখিল দেশ প্রভু প্রতিপালক"। "আল্লাহ" আমাদের মহান ও কল্যাণময় প্রভু প্রতিপালকের নাম। এর অর্থঃ ইলাহ অন্য মা'বুদ (উপাস্য) আল্লাহ তা'আলা বলেন

وَهُوَ اللَّهُ فِي السَّمَوَاتِ وَفِي الْأَرْضِ

“এবং তিনি আল্লাহ আকাশ মন্ডলীতে” ভিন্ন ভিন্ন তিনি মা'বুদ আকাশ মন্ডলীতে এবং মা'বুদ এই সমান। (সূরা আল-আন-'আম-৩) আল্লাহ পাক অন্যত্র বলেন

                       ن كُلُّ مَن فِي السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ إِلَّا ءَ اتِي الرَّحْمَنِ عَبْدًا لَقَدْ أَحْصَاهُمْ وعدَّهُمْ عَنا وَكُلُّهُمْ مَانِّيهِ يَوْمَالْقَرْةً

অনুবাদঃ "আকাশ মন্ডলি ও এমন অবস্থা কেহ নেই যে দয়া করে সামনে বান্দাহ উপস্থিত হবেন না। তিনি পরিবেষ্টন করছেন এবং কালে বিশেষভাবে গণনা করছেন। কিয়ামতের দিন তারা ব্যবহারকারীদের সমীপে এক হবেন (সূরা মরিয়ম-৯৩-৯৫) - এর অর্থ প্রভু, প্রতিপালক, নিয়ন্তা৷না একবচনে মহান কল্যাণময় আল্লাহ বাদেব ক্ষমতাকে আলকলাপ আখ্য্যদান করা হয়। 

আল্লাহ বাদে বাদশাহ, নবী, মানুষ, জ্বীন ইত্যাদি প্রতিপালিত, বশবর্তী, নিয়ন্ত্রিত, ফকির ও মুখাপেক্ষী। সবই এক মহান সত্তার প্রতি সম্পর্কিত, তার কোন শরীক নেই। তিনিই পর মুখাপেক্ষী বিহীন সত্তা এবং তাঁর প্রতি সর্ববিষয় সম্পর্কিত।

ملِكِ يَوْمِ الدِّين

অন্য এক ক্বিরাতে আছেঃ এখানে দ্রষ্টব্য যে, আল্লাহপাক কোরআনের প্রথম সূরা একইভাবে উলুহিয়াহ, রুবুবিয়াহ ও মুলকার বাধিপত্যের উল্লেখ করেছেন সেভাবে কোরআনের শেষ সুরায় সম্পূর্ণরূপে উল্লেখ করে তিনি বলেন।

قل أعوذ برب الناس ملك الناس اله الناس

“বলে (হে) আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষ প্রভু-প্রতিপালকের, মানুষের অধি-প, মানুষের মা'বুদের”।মহান কল্যাণময় কোর-আনের প্রথম দিকে এক জায়গায় তাঁর এই গুণটি উল্লেখ করেছেন, আবার গুণত্রয়ের শেষ অংশে এক-একটি সম্পূর্ণ উল্লেখ করেছেন। 

তাই যে ব্যক্তি মঙ্গল চায় তার এই স্থানকে প্রতি শ্রদ্ধা জানানো উচিত এবং নিজের সম্পর্কে এই গবেষণা ও পর্যালোচনায় সচেষ্ট দেখা যাচ্ছে। তার আরো জানা উচিত যে মহাজ্ঞানী আল্লাহপাক কোরার মাঝে, আবার কুরআনের শেষ অংশে একত্রে উল্লেখ করা এক- সাথে করেছেন,কেবলমাত্র এই জন্যই, মর্মার্থ অনুধাবন করা, এবং মুক্তির পরস্পরের মধ্যে অর্থগত ব্যাবধান- সম্পর্কে বান্দাহর অবগত অতীব প্রয়োজন। 

একটি গুণমান নির্দিষ্ট অর্থ রয়েছে যা অন্যটির মধ্যে নেই। যেমন, আলা মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু- ইহি ওয়া সাল্লাম) এর গুণগত মান, সামনের শেষ এবং আদম সন্তান৷ মোটকথা, এর প্রত্যোকটির অর্থ রয়েছে যা অন্যটি ভিন্ন ভিন্ন৷যখন এ খবর জানানো হল যে ওয়ার্কার্স অর্থ ইলাহ এবং ইলাহ সই মাবুদ৷ 

অঃপর তুমি তাকে ডাকো, তারক কুর্নবানি করো বা তাঁর কাম মানত করো তখন সত্যিকারভাবে তুমি বিশ্বাস করে যে তিনিই আল্লাহ। আর, যদি কোন পথেকে ডাকো ভাল হউক আর মন্দ হক বা তাঁরকুমার কুর্নবানী বা তাঁর কোম্পানী কর তাহলে বিশ্বাস করো আপনি যদি কোন ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে পারেন যে তার জীবনের পর্যবেক্ষণের জন্য ‘শামসান’ অথবা

** শামসানঃবিদ্যা নাম- মুহাম্মদ বিন-শামসান। তার ছেলেরা তারক মানত করার জন্য লোকদের নির্দেশ। লোক তাকে বিশেষ ওলি ও শাফা 'আতের অধিকারী হিসেবে বিশ্বাস কর।

'তাজ'(১) কে আল্লাহ বিশ্বাস করেছে তা হলে সে ইসরাঈলদের হিসাবে তারা গো পতিত হবে বাছুর উপাসনা। অতঃপর যখন তাদের ভ্রান্তি পড়ল তখন তারা ভিতসন্ত্রস্থ ও অনুপস্থিত হয়ে যা বলেছিল।উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন 

وَلَما سقط فِي أَيْدِيهِمْ وَرَأَوْا أَنَّهُمْ قَدْ ضَلُّوا قَالُوا لَمَن لَّمْ يَرْحَمْنَا رَبُّنَا وَيَغْفِرْ لَنَكَنَكَنَكُمْ لَنَا لَنَكُمْ

“অতঃপর যখন তারা অনুপস্থিত হল এবং আলোচনা কর, আমরা নিশ্চিত হয়ে গুমরাহ পড়েছি, বলতে বলতে, আমাদের প্রতি যদি আমাদের পারওয়ার দেবার করা না হয় তাহলে অবশ্যই আমরা দেখতে পাব না”।(সূরা আরাফ-১৪৯)

(১) তাজঃ রিয়াদের অদূরে 'আল-খারজ' এলাকাবাসী ছিল। লোক তাকে বিশেষ ওলী ও অনেক অলৌকিক শক্তি অধিকারী বলে বিশ্বাস কর। তারমান মানব জমা করা। শাসক বৃন্দ তাকে ও তার অনুসারদের ভয়ে ভিত সন্ত্রস্ত ছিল। তাজ ও শামসানের দ্বারা নাজদ এলাকায় অনেক লোক বিভ্রান্ত হয়েছিল।

এর অর্থ হল, নিয়ন্তা৷আল্লাহ তা'আলা ভিন্নর বর্ণনা এবং তিনি অনেকটাই নিয়ন্তা। এটি ধ্রুব সত্য। প্রতিমা পুজ বিরোধিতার বিরুদ্ধে (সাল্লাল্লাহু হওয়া যুদ্ধ ওয়াসাল্লাম) করেছেন তারা কার্যকর এই গুণটি করত। আল্লাহপাক এই সম্পর্কে কোর - আন শরীফের শব্দ বর্ণনা করেছেন, যেমন সুরা ইউনুসে এক আয়াতে বলেছেন:

قُل مَن يَرْزُقُكُم مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَمَن يَمْلِكُ السَّمْعَ وَالْأَبْصَرَ وَ مَن يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْتْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْتْمِيْتِ وَمِيْتِ الْحَيَّ نَ الْحَيِّ وَمَن يُدَبِرُ الأَمر فَسَيَقُولُونَ اللَّهُ فَقُلْ أَفَلَا تَتَّقُونَ

(হে আকাশ) তুমি বড় কর, কেজিক দান করে আমাদের আকাশ থেকে ও আকাশ থেকে? কে তোমাদের কান ও চক্ষের বর্ণনা? কে জীবিতকে মৃতের থেকে বের করে এবং কে-ইবা মৃতকে জীবিতদের মধ্য থেকে বের করে,? কে করেন কর্মপরিবর্তন? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ।

তখন তুমি বল, তারপরও কি তোমরা আল্লাহকে ভয় করবে" (সূরা ইউনুস-৩১)

শব্দের ব্যাখ্যা কয়েক পরে অপাকের বাণীঃ
যে ব্যক্তি এই আয়াতের ব্যাখ্যা সঠিকভাবে অনুধাবন করবে এবং যেটি ব্যবহার করবে, কর্মফল ও অন্যান্য দিবসের সব কিছু ব্যাখ্যা আল্লাহপাক সহ সত্বেও এই (কিয়ামতের)
কোথায় সে মর্মার্থ ও এর প্রতি বিশ্বাস এবং কোরআন কর্তৃক স্পষ্টভাবে ব্যক্ত বিষয়ের উপর ঈমান, আর, কেথায় এই সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী- “হে মুহাম্মদ কন্যা ফাতেমা, আমি আল্লাহর শাস্তি থেকে তোমাকে একটুও বাঁচাতে পার- বনা”। কোথায় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের এই কথা, আর, কোথায় সে বোরদা কবি বোছাইরির উক্তিঃ

তাই যে ব্যক্তি বিপদমুক্ত হওয়া ও প্রয়োজন সাধনের উদ্দেশ্যে ঈশ্বরকে ডাকে এবং পরে এই কোন মখলুকে ডাকে, বিশেষ করে মখলুক-কে ডাকার সাথে তার এবাদতের সাথে নিজের সম্পর্ক করে অথবা বলে সে ডাকার সময় বলে “অমুক তোমারন্দাহ” বা আলীর বান্দাহ বা নবীর বান্দাহ। ন্যায়ের বান্দাহ।তখন এর দ্বারা সে মখলুকের রুবুবিয়াত দেখায় নিল এবং সমগ্র বিশ্বজুড়ে তারবকে বিরোধিতা করে তার কিছু অংশ হিসাবে রুবুকে বসলো। মুস্তাকী অনুসারী আলিম গণের ভাষা ব্যবহার করে। তারা সূরার ব্যাখ্যা এইভাবে কি করেছেন?


مَلِكِ يَوْمِ الدِّين

(প্রতি ফলমূলের বর্ণনা) অন্য ক্বিরাতে

مَلِكِ يَوْمِ الدِّين

(প্রতিফলের সপ্তাহের অধিপতি) দুই সদস্য পদে যোগদান করুন তা হলঃ

وَمَا أَدْرَنكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ ثُمَّ مَا أَدْرَنكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسُ لَا تَمْلِكُ نَفْسُ لِنَفْسٍ لَأْلَهُ لَيْمٍ لَيْمٍ لِنَفْسٍ لَأْلْ شَيْلً ِ الله

“আর, তুমি কর্মফল দিবস সম্পর্কে জান? আবার, কর্মফল সম্বন্ধে তুমি কি জান? সে দিন কেউ চাইলে কিছু করার ক্ষমতা রাখে।সে দিন ক্ষমতা থাকবে শুধু তার হাতে। (সূরা ইফিতার-১৭-১৯)


যে ব্যক্তি এই আয়াতের ব্যাখ্যা সঠিকভাবে অনুধাবন করবে এবং যেটি ব্যবহার করবে, কর্মফল ও অন্যান্য দিবসের সব কিছু ব্যাখ্যা আল্লাহপাক সহ সত্বেও এই (কিয়ামতের)

অধিকারকে উল্লেখ করেছেন সে উপলব্দি করতে যেভাবে তাকে বিশেষভাবে উদ্দেশ্য করে তাকে খাছ করা হয়েছে যা অনুধাবন করে সে বেহেস্তে যাবে এবং যা পরিজ্ঞাত না হয়ে সে দোযখে যাবে। শান্তিপূর্ণ 'অধিকর্তনকারী'র অধিকার পাওয়ার অধিকার আল্লাহ পাকের' এর অর্থ এই যে কত মহান যার উপর বিশটি ধরেছেন তার চিন্তাভাবনাকে দিনটি সম্পূর্ণভাবে ভাবতে হবে।

কোথায় সে মর্মার্থ ও এর প্রতি বিশ্বাস এবং কোরআন কর্তৃক স্পষ্টভাবে ব্যক্ত বিষয়ের উপর ঈমান, আর, কেথায় এই সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বাণী- “হে মুহাম্মদ কন্যা ফাতেমা, আমি আল্লাহর শাস্তি থেকে তোমাকে একটুও বাঁচাতে পার- বনা”। কোথায় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের এই কথা, আর, কোথায় সে বোরদা কবি বোছাইরির উক্তিঃ

“হে রাসূলুল্লাহ, তোমার মর্যাদা আমার জন্য সংকোচিত হবেনা যখন আল্লাহ করীম আমার উপর প্রতিশোধ নিতে উদ্যত হবেন। মুহাম্মদ নাককরণে আমার প্রতি দায়িত্ব রয়েছে তাঁর উপর। আর, তিনিই হলেন সর্বাধিক দয়িত্ব পূরণকারী। দয়া করে যদি তিনি হাতে ধরে আমায় উদ্ধার না করেন তা হলে আমার পদস্খলন নিশ্চিত”।

নিজের মঙ্গল কামনাকারীর পক্ষে উপরোক্ত কবিতা গুচ্ছ ও তার অর্থ সম্পর্কে গভীর ভাবে চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। যে সকল সাধারণ মানুষ ও তথাকথিত আলেমবর্গ যারা এগুলোর প্রতি আকৃষ্ট এবং কোরআন শরীফের পরিবর্তে এগুলো যারা আবৃত্তি করে তাদেরও এই ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করে দেখা উচিত। কোন বান্দাহর অন্তরে কি এই কবিতা গুচ্ছের প্রতি বিশ্বাস আর, আল্লাহ পাকের বাণীঃ

يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِنَفْسٍ شَيْئًا وَالْأَمْرُ يَوْمَيذٍ لِلَّهِ

যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর” (সূরা ইন্‌ফেতার-১৯) এবং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হাদীছঃ

“হে মুহাম্মদ কন্যা ফাতেমা, আমি আল্লাহর শাস্তি থেকে তোমাকে একটুও বাঁচাতে পারব না।” এর প্রতি বিশ্বাস একত্রিত হতে পারে? আল্লাহর শপথ তা হতে পারেনা, আল্লাহর শপথ, তা হতে পারে না আল্লাহর শপথ তা হতে পারে না, যেমন একত্রিত হতে পারেনা এ কথা ‘হজরত মূসার (আঃ) কথা সত্য এবং ফেরআউ- নেরও কথা সত্য, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কথা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং আবু জাহেলও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত'। কবিতাঃ

(আল্লাহর শপথ, বিষয় দুটু সমান নয় ৷ তা একত্রিত হতে পারেনা যতক্ষণ না কাকের মাথা শুভ্র বর্ণের হবে।)

সুতরাং যে ব্যক্তি এই বিষয়টি অনুধাবন করবে এবং বুরদার কবিতা ও এর প্রতি আসক্ত ব্যক্তিদের প্রতি দৃষ্টি প্রদান করবে সে ভাল করেই ইসলামের অসহায়তা উপলব্দি করতে পারবে। এটাও উপলব্দি করতে পারবে যে শত্রুতা এবং আমাদের জান মাল ও নারীদের হালাল মনে করা প্রকৃত পক্ষে আমাদের পক্ষ থেকে তাদের কাফির বলা বা তাদের সাথে যুদ্ধ করার কারণে নয় বরং তারাই (বিরোধীরা) আমাদের উপর যুদ্ধ ও কুফরি ফতওয়া শুরু করেছে। শুরু করেছে তখনই যখন আল্লাহপাকের নিম্নোক্ত বাণী তুলে ধরা হলঃ আল্লাহপাক বলেনঃ

فَلَا تَدْعُوا مَعَ اللَّهِ أَحَدًا

“সুতরাং তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে ডেকোনা” (সূরা জ্বিন-১৮)

আল্লাহপাক আরো বলেনঃ

أُوْلَيكَ الَّذِينَ يَدْعُونَ يَبْتَغُونَ إِلَى رَبِّهِمُ الْوَسِيلَةَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ

“তারা যাদের আহ্বান করে তারাইতো তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে যে, তাদের মধ্যে কে কত নিকটতম হতে পারে (সূরা ইস্ররা- ৫৭ )

তিনি আরও বলেনঃ

لَهُ دَعْوَةُ الْحَقِّ وَالَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِهِ لَا يَسْتَجِيبُونَ لَهُم بِشَيْءٍ

“সত্যের আহ্বান তাঁরই, যারা তাঁকে ব্যতীত অপরকো আহ্বান করে তাদের কোনই সাড়া দেয় না ওরা” (সূরা রা'দ-১৪ )

এই হল সকল মুফাসিরগণের ঐক্যমতে আল্লাহর বাণী, অর্ড এর মর্মার্থের কিয়দাংশ। আল্লাহপাক স্বয়ং এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সূরা ইফতারের কয়েকটি আয়াতে যা ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রিয় পাঠক, (আল্লাহ আপনাকে তাঁর আনুগত্যের পথে পরিচালিত করুন) জেনে রাখুন, সর্বদা অসত্যের সাথে সংঘর্ষের মাধ্যমে সত্য স্পষ্ট হয়ে উঠে।

আরবীতে বলা হয়ঃ

وبضدها تتبين الأشياء

‘অর্থাৎ সকল বস্তু তার বিপরীত বস্তুর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠে'।

প্রিয় পাঠক, উপরে যা বলা হল সে বিষয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর চিন্তা ভাবনা করে দেখুন, নিশ্চয়ই আপনি সঠিক ভাবে জানতে পারবেন, আপনার প্রপিতা ইব্রাহীম (আঃ)-এর মিল্লাত ও মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ধর্ম। ফলে, সেই পথে চলে তাদের উভয়ের সাথে ক্বিয়ামতের দিন একত্রিত হবেন এবং এই পৃথিবীতে সত্য পথ থেকে দূরে থাকার কারণে কর্মফল দিবসে হাউজ কাউসার থেকে বিদুরিত হবেন না, যেমন বিদুরিত হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের পথে লোকদের বাধা প্রদান করেছিল। আশা করি, আপনি কিয়ামতের দিন পুলসিরাতের উপর দিয়ে নিরাপদে পার হবেন। আপনার পদ- স্খলন ঘটবেনা, যেমনি ঘটবে ঐ ব্যক্তির পৃথিবীতে তাদের (ইব্রাহীম ও মুহাম্মদ) ছিরাতে মুস্তাকীম থেকে যার পদস্খলন ঘটে থাকবে। সুতরাং আপনার কর্তব্য সর্বদা ভয় ও উপস্থিত চিত্তে এই ফাতে- হার দো'আ পাঠ করা ।

إيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ

(“হে আল্লাহপাক), আমরা শুধু তোমারই এবা- দত করি এবং শুধু তোমারই সাহায্য কামনা করি”।

এবাদতের অর্থ পূর্ণ মহব্বত, চরম বিনয়, ভয় ও অবচয়ন। এখানে কর্মকে ক্রিয়ার পূর্বে এবং দ্বিতীয়বার উল্লেখ করার উদ্দেশ্য ক্রিয়ার প্রতি অধিকতর গুরুত্ব প্রদান এবং ক্রিয়াকে কর্মের মধ্যে সীমিত রাখা। অর্থাৎ অন্য কারো নয়

কেবল তোমারই এবাদত করি এবং তোমার উপরই ভরসা করি। এটাই হল চরম আনুগত্য। ধর্মের সব- কিছুই এ দুটো অর্থের অন্তর্ভুক্ত। প্রথম অর্থে শির্ক থেকে এবং দ্বিতীয় অর্থে স্বীয় শক্তি সামর্থ থেকে বিমুক্তি কামনা করা হচ্ছে।

এটি অর্থাৎ এবাদতে কেবল তোমা- রই তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করি ৷ এর অর্থঃ আপনি আপনার প্রভু প্রতিপালকের সাথে ওয়াদা ও চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন যে, আপনি তাঁর সাথে তাঁর এবাদতে কাউকে শরীক করবেন না, হোক না সে স্বর্গীয় কোন ফেরেশতা বা নবী বা অন্য কেউ। যেমন, সাহাবীগণকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছেঃ

وَلَا يَأْمُرَكُمْ أَن تَتَّخِذُوا المليكة والي أرباباً أنا مركم بالكفر بعد إذ أنهم تُسْلِمُونَ )

“ এবং সে তোমাদের নির্দেশ দেয় না যে তোমরা ফেরেস্তা ও নবীগণকে নিজেদের প্রতি- পালকরূপে গ্রহণ করে নাও তোমরা মুসলমান হবার পর সে কি তোমাদের কুফরী শিখাবে”? (সূরা আলে-ইমরান ৮০)

আয়াতটি অনুধাবন করুন এবং স্মরণ করুন, পূর্বে রুবুবিয়াত সম্পর্কে আলোচনায় যা বলেছিলাম। তাজ শামছানের প্রতি আরোপিত কু-বিশ্বাস ও কুসংস্কার জাতীয় কাজ যদি সাহাবাগণ রাসূলগণের সাথে করলে মুসলমান হও- য়ার পর কাফের হয়ে যেত তা হলে যে লোক ঐরূপ কাজ তাজ বা তার অনূরূপ লোকের সাথে করে সে কি হতে পারে?

وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ

“এবং আমরা শুধু তোমারই সাহায্য কামনা করি”। ও এটা এর মধ্যে দুটো বিষয় রয়েছে, প্রথম বিষয়- আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা এবং তা হল তাওয়াক্কুল করা এবং স্বীয় শক্তি সামর্থ থেকে বিমুক্ত হওয়া, আর, দ্বিতীয় বিষয় হল- বাস্তবে আল্লাহ্র নিকট থেকে সাহায্য লাভের তলব পেশ করা। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই সাহায্য প্রার্থনা বান্দাহ্র ভাগে পড়ে ৷

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ

(হে আল্লাহ) “আমাদের সরল সহজ পথে চালাও” । এটাই হল, আল্লাহর নিকট বান্দা- হ্র স্পষ্ট দো'আ, যা, বান্দার ভাগে রয়েছে। এর অর্থ বিনয়, নম্র, অবিচল হয়ে আল্লাহ্র নিকট এই প্রার্থনা করা যে তিনি যেন প্রার্থনাকারীকে এই মহান মতলব (ছিরাতে মুস্তাকীম) দান করেন। এটা এমন মতলব, দুনিয়া ও আখেরাতে এর চেয়ে উত্তম কিছু আল্লাহ কাউকে দান করেন নি। আল্লাহপাক মক্কা বিজয়ের পর তাঁর প্রিয় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপর অনুগ্রহের উল্লেখ করে বলেনঃ

وَيَهْدِيَكَ صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا

(যাতে তোমার) “প্রভু তোমাকে ছিরাতে মুস্তা- কীমের পথে পরিচালিত করেন”।এখানে

الهداية

বলতে তাওফীক ও পথ প্রদর্শন বুঝানো হয়েছে ।

বান্দার পক্ষে উচিত উপরোক্ত বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করা। কেননা,ছিরাতে মুস্তাকীমের প্রতি হেদায়াতের মধ্যে ফলপ্রসু জ্ঞান ও নেক আমল অন্তর্ভুক্ত যাতে বান্দাহ আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাৎ (মৃত্যু) পর্যন্ত এর উপর সঠিক ভাবে পরিপূর্ণ পদ্ধতিতে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে ।

الضراطএর অর্থ স্পষ্ট পথ। আর,الْمُسْتَقِيمَএর অর্থ এমন পথ যার মধ্যে কোন বক্রতা নেই । ছিরাতে মুস্তাকীম দ্বারা সেই ধর্ম বুঝানো হয়েছে যা আল্লাহপাক তাঁর রাসূলের উপর নাযেল করেছেন এবং এটাই তাদের পথ যাদের উপর আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন। আর, তারা হলেন রাসূল রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর প্রিয় সাহাবাগণ । *

“তুমি যাদের উপর নেয়ামত দান  করেছ” এর ব্যাখ্যায় এখানে তাসীরে ইবনে কাছীরে বর্ণিত আব্দুর রহমান বিন যায়দ বিন আসলামের তাসীর অনুসরন করা হয়েছে। তবে ইবনে কাছীরসহ অধিকাংশ মুফাস্সিরগণ হজরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) এর তাসীরকে অগ্রধিকার দিয়েছেন। তারা আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লাহপাকের এই আয়াত পেশ করেনঃ 

ومن يطع الله والرسول فأولئك مع الذين أنعم الله عليهم من

 النبين والصديقين والشهداء والصالحين وحسن أولئك رفيقا

প্রিয় পাঠক, আপনি সর্বদা প্রতি রাকাতে এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্র কাছে দো'আ করছেন, তিনি যেন আপ- নাকে নিয়ামত প্রাপ্তদের পথে পরিচালিত করেন । আপনার উপর আল্লাহ্ পাকের এ কথা সত্য বলে স্বীকার করা যে এ পথই হল ছিরাতে মুস্তাকীম। ভাই, যখনই কোন পদ্ধতি, জ্ঞান বা এবাদত এই পথের পরিপন্থী হবে তা ছিরাতে মুস্তা- কীম হতে পারেনা।

বরং তা হবে বক্র বিভ্রান্ত। এটাই হল উক্ত আয়াতের প্রথম দাবী এবং একে অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করতেই হবে। প্রত্যেক মুমেনকে অব- শ্যই শয়তানের এই প্রবঞ্চনা ও ধোকা যে উপরোক্ত বিষয়ে মোটামুটি ভাবে বিশ্বাস রেখে বিস্তারিতভাবে পরিত্যাগ করা চলে, এই বিশ্বাস থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা অধিকাংশ মুরতাদ (ধর্মত্যাগী)

এই বিশ্বাস পোষন করে যে রাসূলুল্লাহ আর, যে আল্লাহর হুকুম ও তাঁর রাসূলের হুকুম মান্য করবে সে ঐসব লোকের সাথী হবে যাদের প্রতি আল্লাহপাক অনুগ্রহ করেছেন, তারা হলেন, নবী, সিদ্দীক, শহীদ এবং সৎকর্মশীল নেক বান্দাহগণ। আর, তাদের সান্নিধ্য কতই উত্তম। (সূরা নিসা- ৬৯)

অনুবাদক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং যা তার বিরোধী হবে তা বাতেল। এরপর যখন তিনি এমন কিছু নিয়ে আসেন যা তাদের প্রবৃত্তি চায় না তখন তারা ওদের মত হয়ে যায় যাদের প্রসঙ্গে আল্লাহপাক বলেনঃ

فَرِيقًا كَذَّبُوا وَفَرِيقًا يَقْتُلُونَ

“তখন তারা এক দলকে অবিশ্বাস করে এবং এক দলকে তারা হত্যা করে।” (সূরা মায়েদা -৭০)

غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ

“তাদের পথ নয় যাদের উপর তোমার গজব পড়েছে এবং তাদের পথও নয় যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে”।

'যাদের উপর গজব পড়েছে তারা হল ঐসব ওলামা যারা তাদের ইলম মোতা- বেক আমল করে নাই, এবং‘পথভ্রষ্ট' ওরাই যারা ইলম ব্যতীরেকে আমল করে। প্রথমটা হল ইয়াহুদীদের গুণ আর দ্বিতীয়টা হল খৃষ্টানদের গুণ ।

অনেক লোকের অবস্থা এই যে, তারা যখন তাফসীরে দেখে ইয়াহুদীরা গজবপ্রাপ্ত, আর খৃষ্টানরা পথভ্রষ্ট, তখন সেই জাহেল লোকদের ধারণা হয় যে উপরোক্ত গুণাবলী ইয়াহুদ ও খৃষ্টানদের বেলায়ই প্রযোজ্য এবং একথাও তারা স্বীকার করে যে আল্লাহ তাদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন যেন তারা এই দো'আ করে এবং উপরোক্ত গুণ বিশিষ্ট লোকদের পথ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে।

সুবহানাল্লাহ! কিভাবে সে ধারণা করে যে তাকে আল্লাহপাক এই শিক্ষা দিলেন এবং তার জন্য পছন্দ করে তার উপর ফরজ করে দিলেন যেন সে সর্বদা এই দো'আ করে, অথচ, তার উপর এ কাজের কোন ভয় নেই। এমনকি, সে চিন্তা ও করেনা যে সে এমন কাজ করতে পারে। এটা অল্লাহ্র উপর তার কু-ধারণার অন্তর্ভুক্ত । আল্লাহই সর্বাধিক জানেন ।

(সূরা ফাতেহার ব্যাখ্যা এখানেই শেষ)

উল্লেখযোগ্য যে, আমীন শব্দটি সূরা ফাতেহার অংশ নয়। এটা দো'আর উপর সমর্থন সূচক শব্দ । এর অর্থ, “হে আল্লাহ, তুমি কবুল কর”। জাহেল লোকদের এই বিষয়টি জানিয়ে দেয়া কর্তব্য, যাতে তারা এ ধারণা পোষণ না করে যে, এ শব্দটি আল্লাহ্র কালামের অন্তর্ভুক্ত । 

আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত

পরিশেষে, দরূদ ও সালাম জানাই আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), তাঁর পরি- বারবর্গ ও সাহাবীগণের প্রতি ৷


আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।

সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।

আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।

আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।

সুনানে ইবনে মাজহা সবগো সহিহ হাদিস দেখুন।



Post a Comment

0 Comments