Ticker

10/recent/ticker-posts/

হে মুমিন গণ! আপনারা জানেন কি ঈমান ভাঙ্গার কারন আসুন জেনে নিই ঈমান ভঙ্গকারী ১০টি বিষয়।

আসুন জেনে নিই ঈমান ভঙ্গকারী ১০টি বিষয়।

😂yt

🔥ঈমান ভঙ্গার কারণ সমূহ🔥

ওযু করার পর এমন কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো সম্পাদিত হলে ওযু ভেঙ্গে যায়। নামায-রোযা ও অন্যান্য আমলের ক্ষেত্রেও একই কথা। তেমনি এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো ঈমান আনার পর করলে, ঈমান ভেঙ্গে যায়। ঈমান ভঙ্গ হলে ইসলামের গন্ডি থেকে বেরিয়ে মুসলিম কাফির এ পরিণত হয়। 

দুঃখজনক ব্যাপার হলো— আমরা ওযু ভঙ্গের কারণ জানি, সালাত (নামায) ভঙ্গের কারণ জানি, কিন্তু ঈমান ভঙ্গের কারণ আমরা অনেকেই জানি না। এমন অনেক মুসলিম রয়েছে যদি তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, ঈমান ভঙ্গের কারণ কী কী? তাহলে সে বলতে পারবে না।

অথচ ঈমান আনার পূর্বেই এ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা জরুরি।


🔴আসুন জেনে নিই ঈমান ভঙ্গকারী ১০টি বিষয়।🔴


🔴১. আল্লাহর সাথে শরীক বা অংশীদার স্থাপন করা:

আল্লাহর সাথে শরীক বিভিন্নভাবে হতে পারে।

যেমন--আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদাত পাওয়ার উপযুক্ত বলে মনে করা।

নবী -কে এ ব্যাপারে আল্লাহ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “কাজেই তুমি অন্য কোন ইলাহকে আল্লাহর সঙ্গে ডেকো না। অন্যথায় তুমি শাস্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।”

[সূরা শুআরা ২৬: ২১৩]

فَلَا تَدۡعُ مَعَ اللّٰهِ اِلٰـهًا اٰخَرَ فَتَکُوۡنَ مِنَ الۡمُعَذَّبِیۡنَ ﴿۲۱۳﴾ۚ

উচ্চারণ: ফালা-তাদ’উ মা’আল্লা-হি ইলা-হান আ-খারা ফাতাকূনা মিনাল মূ-আযযাবীন।

উল্লেখিত আয়াতে নবী’করিম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জাহান্নামের শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে। অথচ নবীদের জাহান্নামী হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। 

সুতরাং এ আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, যারা পীর, ওলী-আওলিয়া বা কোন কবরবাসীকে ডাকে, তাদের ইবাদাত করে, তারা ঈমান হারাবে এবং জাহান্নামী হবে যদি না তারা তাওবা করে মৃত্যুবরণ করে। কারণ এটা স্পষ্ট শিরক। আর এ ধরনের শিরক মুমিনকে ঈমানহীন করে দেয়।


🔴২. আল্লাহ এবং বান্দার মাঝে উকিল, সুপারিশকারী বা ভায়া-মাধ্যম তৈরি করা: 

শাফাআতের মালিক একমাত্র আল্লাহ । তিনি বলেন,

“ শাফাআত সম্পূর্ণ আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। আকাশ ও পৃথিবীর রাজত্ব তাঁরই, অতঃপর তাঁর কাছেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।”

[সূরা যুমার ৩৯: ৪৪]

قُلۡ لِّلّٰهِ الشَّفَاعَۃُ جَمِیۡعًا ؕ لَهٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ ثُمَّ اِلَیۡهِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۴۴﴾

উচ্চারণ: কুল লিল্লা-হিশশাফা, আতুজামী’আন লাহুমূলকুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরোদি ছূ’ম্মা ইলাইহি তুর’জা-ঊন।


এক শ্রেণির লোক আল্লাহকে ছেড়ে অন্যের ইবাদাত করে এবং তাদেরকে সুপারিশকারী হিসেবে গ্রহণ করে। অথচ তাদের সুপারিশ করার কোন ক্ষমতা নেই ।

কাফের বিধান প্রযোজ্য হওয়ার শর্তাবলি: দুটি মূলনীতি: প্রথম মুলনীতি দ্বীন ইসলামের ব্যাপারে কারও নিকট যদি এ জ্ঞান এসে থাকে যে, বিষয়টি আল্লাহ এবং রাসূল -এর পক্ষ থেকে, এমতাবস্থায়ও যদি ঐ ব্যক্তি তা গ্রহণ না করে (বর্জন করে) তবে সে কাফির।

কারণ ইসলাম অর্থই হলো, আল্লাহর দরবারে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ এবং যা কিছু আল্লাহর পক্ষ থেকে (নির্দেশ বা নিষেধ) আসবে তার সব কিছুকেই গ্রহণ করা। 


দ্বিতীয় মূলনীতিঃ কিন্তু যে দ্বীনের বিষয়টিকে গ্রহণ করল অতঃপর এর আদেশ-নিষেধ এর কোন কোনটির লঙ্ঘন করল এবং স্বীকার করল যে, সে অন্যায় করেছে, সে কাফির নয়। 

সে গুনাহগার হলো, খালিস অন্তরে তাওবা করলে আল্লাহ তাকে মাফ করে দিবেন ইনশা-আল্লাহ।


এ দুটি মুলনীতির দৃষ্টিতে কেউ যদি সুষ্পষ্টভাবে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল এর একটিমাত্র নির্দেশ কিংবা একটিমাত্র নিষেধকে জেনে-বুঝে প্রত্যাখ্যান/অস্বীকার বা বর্জন/ঘৃণা করে সে কাফির। 


🔴৩. কাফিরদেরকে কাফির মনে না করা:

কাফিরদেরকে কাফির মনে না করা বা তাদের প্রকাশ্য কুফরীর ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা অথবা তাদের কুফরী মতবাদসমূহ সঠিক মনে করা ঈমান ভঙ্গের অন্যতম একটি কারণ। 


আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ হতে বড় হজ্জের দিনে” মানুষদের কাছে ঘোষণা দেয়া হলো যে- আল্লাহ মুশরিকদের সাথে সম্পর্কহীন এবং তাঁর "রাসূলও।”

[সূরা তওবা ৯: ৩]

وَ اَذَانٌ مِّنَ اللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖۤ اِلَی النَّاسِ یَوۡمَ الۡحَجِّ الۡاَکۡبَرِ اَنَّ اللّٰهَ بَرِیۡٓءٌ مِّنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ۬ۙ وَ رَسُوۡلُهٗ ؕ فَاِنۡ تُبۡتُمۡ فَهُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ وَ اِنۡ تَوَلَّیۡتُمۡ فَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّکُمۡ غَیۡرُ مُعۡجِزِی اللّٰهِ ؕ وَ بَشِّرِ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ ۙ﴿۳﴾


উচ্চারণঃ অআযা-নুম্ মিনাল্লা-হি অরসূলিহী-ইলানন্ না-সি ইয়াওমাল্ হাজ্জিল্ আক্’বারি আন্নাল্ল-হা বারী-য়ুম মিনাল্ মুশরিকীনা অ-রসূলুহ্; ফাইন্ তুবতুম্ ফাহুঅ খা-নুল্লা-হা মিন্ ক্বাব্লু ফাআম্কানা মিনহুম্; অল্লা-হু ‘আলীমুন্ হাকীম্।


অর্থাৎ মুশরিকদের ব্যাপারে আল্লাহর কোন দায়দায়িত্ব নেই ।

মহান আল্লাহ বলেন,“কিতাবধারীদের মধ্যে যারা কুফরী করে তারা আর মুশরিকরা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। এরাই সৃষ্টির অধম।”

[সূরা বায়্যিনাহ ৯৮: ৬] 

 اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَهۡلِ الۡکِتٰبِ وَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ فِیۡ نَارِ جَهَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا ؕ اُولٰٓئِکَ هُمۡ شَرُّ الۡبَرِیَّۃِ ؕ﴿۶﴾


উচ্চারণঃ ইন্নাল্লাযীনা কাফারূমিন আহলিল কিতা-বি ওয়াল মুশরিকীনা ফী না-রি জাহান্নামা খা-লিদীনা ফীহা-উলাইকা হুম শাররুল বারিইইয়াহ।


🔴৪. আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে উত্তম বিধানদাতা মনে করা:

যদি কোন মুসলিম নবী করীম এর দেখানো পথ ব্যতীত অন্য কোন পথ পরিপূর্ণ অথবা ইসলামী হুকুমাত ব্যতীত অন্য কারো তৈরি হুকুমাত উত্তম মনে করে, তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ (বের) হয়ে যাবে। 

অর্থাৎ যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস করে যে, মানুষের তৈরি আইন ও বিধান ইসলামী শরীয়ত থেকে উত্তম বা ইসলামের সমান, মানবসৃষ্ট বিধান দিয়ে বিচার ফায়সালা করা জায়েয, ইসলামী হুকুমাত বিংশ বিচার-ফায়সালা শতাব্দির জন্য প্রযোজ্য নয়; এগুলো মধ্যযুগীয়, ইসলামই মুসলিমদের পিছিয়ে পড়ার কারণ, ইসলামের সাথে পরকালীন সম্পর্ক, দুনিয়াবি কোন সম্পর্ক নেই ইত্যাদি- উলামায়ে কেরামের ঐক্যমতে এসব কথাবার্তা কুফরীর শামিল। কারণ এটা হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল করার হীন প্রচেষ্টা মাত্র।”


🔴৫. আল্লাহর কোন বিধান অপছন্দ/ঘৃণা করা:

যদি কোন মুসলিম আল্লাহর নবী এর আনীত বিধানের কোন অংশকে অপছন্দ/ঘৃণা করে তবে সে ইসলাম থেকে খারিজ/বের হয়ে যাবে, যদিও সে ঐ বিষয়ে আমল করে। আল্লাহ বলেন,

“যারা কুফরী করে তাদের জন্য দুর্ভোগ আর তিনি তাদের কর্মকে বিনষ্ট করে দেবেন। তা এজন্য যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তারা তা অপছন্দ করে, কাজেই আল্লাহ তাদের কর্ম ব্যর্থ করেন।” 

[সূরা মুহাম্মাদ ৪৭: ৮-৯]

 وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَتَعۡسًا لَّهُمۡ وَ اَضَلَّ اَعۡمَالَهُمۡ ﴿۸﴾ ذٰلِکَ بِاَنَّهُمۡ کَرِهُوۡا مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ فَاَحۡبَطَ اَعۡمَالَهُمۡ ﴿۹﴾


উচ্চারণঃ ওয়ালাইনা কাফারুফাতা'ছাল্লাহুম ওয়া-আদাল্লা আ'মা লাহুম।{৮} যা-লিকা বিআন্নাহুম কারিহুমা'আনঝাল্লা-হু ফাআহবাতা আ'মা-লাহুম।{৯}


🔴৬. দ্বীনের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা:

যদি কোন মুসলিম মুহাম্মাদ এর আনীত দ্বীনের কোন বিষয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তবে সেও কাফির হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,

“তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জোর দিয়েই বলবে, আমরা হাস্য রস আর খেল- তামাশা করছিলাম। বলো, আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে? 

ওযর পেশের চেষ্টা করো না, ঈমান আনার পর তোমরা কুফরী করেছ।”

[সূরা তওবা ৯: ৬৫-৬৬]

 وَ لَئِنۡ سَاَلۡتَهُمۡ لَیَقُوۡلُنَّ اِنَّمَا کُنَّا نَخُوۡضُ وَ نَلۡعَبُ ؕ قُلۡ اَ بِاللّٰهِ وَ اٰیٰتِهٖ وَ رَسُوۡلِهٖ کُنۡتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُوۡنَ ﴿۶۵﴾  لَا تَعۡتَذِرُوۡا قَدۡ کَفَرۡتُمۡ بَعۡدَ اِیۡمَانِکُمۡ ؕ اِنۡ نَّعۡفُ عَنۡ طَآئِفَۃٍ مِّنۡکُمۡ نُعَذِّبۡ طَآئِفَۃًۢ بِاَنَّهُمۡ کَانُوۡا مُجۡرِمِیۡنَ ﴿۶۶﴾


উচ্চারণঃ অ-লায়িন্ সায়াল্তা হুম্ লাইয়াকূ লুন্না ইন্নামা-কুন্না-নাখূব্দূ আনাল্’আব্; কূল্ আবিল্লা-হি অআ-ইয়া-তিহী অরসূলিহি কুন্’তুম্ তাস্’তাহ্’যিয়ূন্।{৬৫} লা-তা’তাযিরু ক্বদ্ কাফার্’তুম্ বা’দা ঈমা-নিকুম্; ইন্ না’ফু ‘আন্ ত্বোয়া–য়িফাতিম্ মিন্কুম্ নু’আয্’যিব্ ত্বোয়া–য়িফাতাম্ বিআন্নাহুম্ কা-নূ মুজ্ব রিমীন্।{৬৬}

অর্থাৎ যিলহজ্জের ১০ তারিখ কুরবানীর দিন। ফাতাওয়া আল-মারআতুল মুসলিমা, ১/১৩৭।

যারা ইসলাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে তাদের আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের কোন আশা নেই। এ ধরনের লোকদের সাথে উঠা-বসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে।


🔴৭. যাদু-মন্ত্র করা :

যদি কেউ যাদুর মাধ্যমে ভাল কিছু অর্জন বা মন্দ কিছু বর্জন করতে চায় অথবা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক স্থাপন বা ভাঙ্গন ধরাতে গোপন, প্রকাশ্য, মন্ত্র-তন্ত্র করতে চায় অথবা কারো সাথে (ছেলে-মেয়ে) সম্পর্ক স্থাপন বা বন্ধুত্বে ফাটল ধরাতে চায় তবে তা সম্পূর্ণরূপে কুফরী। যে ব্যক্তি এমন কাজ করবে এবং যে ব্যক্তি এর প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে উভয়ই কুফরী করল। আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ বলেন, “তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক জিনিস থেকে বেঁচে থাকো। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল ঐ ধ্বংসাত্মক জিনিসগুলো কী? তিনি বললেন

(১) আল্লাহর সাথে শিরক করা

(২) যাদু করা

(৩) অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, যা আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন

(৪) সুদ খাওয়া

(৫) এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা

(৬) যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা

(৭) সতী-সাধ্বী মুমিন মহিলাকে অপবাদ দেয়া।”


🔴৮. মুসলিমদের বিরুদ্ধে অমুসলিমদের (কাফির-মুশরিকদের) সাহায্য-সহযোগিতা করা : 


যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি এমন কাজ করে তবে সে কুফরী করল। মহান আল্লাহ বলেন, “হে মুমিনগণ! তোমরা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না, তারা পরস্পর বন্ধু; আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে নিশ্চয় সে তাদের মধ্যেই গণ্য হবে; নিশ্চয় আল্লাহ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না ।”

[সূরা মায়েদা ৫: ৫১]

 یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الۡیَهُوۡدَ وَ النَّصٰرٰۤی اَوۡلِیَآءَ ۘؔ بَعۡضُهُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّهُمۡ مِّنۡکُمۡ فَاِنَّهٗ مِنۡهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۵۱﴾


উচ্চারণঃ ইয়াআয়ুহাল্লীয়িনা আ-মানু-লা ত্তাখিয়ুল ইয়াহূদা ওয়া’নাসা-রাআওলিয়াআ। বা’দহূম আওলিয়াউ বা’দিওঁ ওয়া মাই’ইয়াতাওয়াল্লাহুম মিনকূম ফাইন্নাহুমিনহুম ইন্নাল্লা-হা ইয়াহদিল কাওমাজ্জা-লিমীন।


“হে মুমিনগণ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না; তোমরা কি তাদের সাথে বন্ধুত্ব করছ? অথচ তারা তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে; রাসূলকে এবং তোমাদেরকে বহিষ্কার করেছে এ কারণে যে, তোমরা তোমাদের রব আল্লাহর উপর ঈমান এনেছ।”

[সুরা মুমতাহিনা ৬০: ১]

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡا عَدُوِّیۡ وَ عَدُوَّکُمۡ اَوۡلِیَآءَ تُلۡقُوۡنَ اِلَیۡهِمۡ بِالۡمَوَدَّۃِ وَ قَدۡ کَفَرُوۡا بِمَا جَآءَکُمۡ مِّنَ الۡحَقِّ ۚ یُخۡرِجُوۡنَ الرَّسُوۡلَ وَ اِیَّاکُمۡ اَنۡ تُؤۡمِنُوۡا بِاللّٰهِ رَبِّکُمۡ ؕ اِنۡ کُنۡتُمۡ خَرَجۡتُمۡ جِهَادًا فِیۡ سَبِیۡلِیۡ وَ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِیۡ ٭ۖ تُسِرُّوۡنَ اِلَیۡهِمۡ بِالۡمَوَدَّۃِ ٭ۖ وَ اَنَا اَعۡلَمُ بِمَاۤ اَخۡفَیۡتُمۡ وَ مَاۤ اَعۡلَنۡتُمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡهُ مِنۡکُمۡ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِیۡلِ ﴿۱﴾


উচ্চারণঃ ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাত্তাখিযূ‘আদুওবী ওয়া ‘আদুওওয়াকুম আওলিয়াআ তুলকৃনা ইলাইহিম বিলমাওয়াদ্দাতি ওয়া কাদ কাফারূবিমা-জাআকুম মিনাল হাক্কি ইউখরিজুনার রাছুলা ওয়া ইয়্যা-কুম আন তু’মিনূবিল্লা-হি রাব্বিকুম ইন কুনতুম খারাজতুম জিহা-দান ফী ছাবীলী ওয়াব তিগাআ মারদা-তী তুছিররূনা ইলাইহিম বিলমাওয়াদ্দাতি ওয়া আনা আ'লামুবিমাআখফাইতুম ওয়ামাআ'লানতুম ওয়া মাই ইয়াফ‘আলহু মিনকুম ফাকাদ দাল্লা ছাওয়াআছ ছাৰীল।


🔴৯. ইসলাম ছাড়া অন্য কোন উপায়ে নাজাত পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করা: 

যে ব্যক্তি মনে করে মুহাম্মাদ * এর শরীয়ত ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন/জীবনব্যবস্থা/ধর্ম বা অন্য কোন পদ্ধতিতে জীবন পরিচালনা করলেও জান্নাত পাওয়া যাবে বা আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া সম্ভব, সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,

“আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইবে, কক্ষনো তার সেই দ্বীন কবুল করা হবে না এবং আখিরাতে সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।”

[সূরা আল ইমরান ৩: ৮৫]

 وَ مَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنۡهُ ۚ وَ هُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ ﴿۸۵﴾


উচ্চারণঃ ওয়া মাই ইয়াবতাগি গাইরাল ইছলা-মি দীনান ফালাই ইউকবালা মিনহু ওয়া হুওয়া ফিল আ-খিরাতি মিনাল খা- ছিরীন।


🔴১০. আল্লাহর মনোনীত দ্বীন-ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া:

যারা ইসলাম অনুসারে আমল করতে এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে নারাজ/অখুশি বা ইসলাম মেনে চলবে না বা ইসলামকে ঘৃণা করবে, এরকম ব্যক্তি কাফির। মহান আল্লাহ বলেন,

বুখারী: ২৭৬৬, মুসলিম: ৮৯, সুনানে আবু দাউদ ২৮৭৪,সুনানে নাসাই ৩৬৭১ ।

“তার চেয়ে বড় যালিম আর কে আছে, যাকে তার প্রতিপালকের আয়াতসমূহ দিয়ে উপদেশ দান করা হলে সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়? আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দেব।”

[সূরা সাজদা ৩২: ২২]

وَ مَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنۡ ذُکِّرَ بِاٰیٰتِ رَبِّهٖ ثُمَّ اَعۡرَضَ عَنۡهَا ؕ اِنَّا مِنَ الۡمُجۡرِمِیۡنَ مُنۡتَقِمُوۡنَ ﴿۲۲﴾


উচ্চারণঃ ওয়া মান আজলামুমিম মান যুক্কিরা বিআ-য়া-তি রাব্বিহী ছুম্মা আ‘রাদা ‘আনহা- ইন্না-মিনাল মুজরিমানা মুনতাকিমূনা।


“আর যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা হবে সংকীর্ণ; আর তাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! কেন আমাকে অন্ধ করে উঠালে? আমি তো চক্ষুষ্মান ছিলাম। তখন আল্লাহ বলবেন, এভাবেই তো আমার নিদর্শনসমূহ যখন তোমার কাছে এসেছিল তখন তুমি তা ভুলে গিয়েছিলে। আজকের দিনে সেভাবেই তোমাকে ভুলে যাওয়া হচ্ছে।”

[সূরা ত-হা ২০:১২৪-১২৬] 

وَ مَنۡ اَعۡرَضَ عَنۡ ذِکۡرِیۡ فَاِنَّ لَهٗ مَعِیۡشَۃً ضَنۡکًا وَّ نَحۡشُرُهٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ اَعۡمٰی ﴿۱۲۴﴾ قَالَ رَبِّ لِمَ حَشَرۡتَنِیۡۤ اَعۡمٰی وَ قَدۡ کُنۡتُ بَصِیۡرًا ﴿۱۲۵﴾  قَالَ کَذٰلِکَ اَتَتۡکَ اٰیٰتُنَا فَنَسِیۡتَهَا ۚ وَکَذٰلِکَ الۡیَوۡمَ تُنۡسٰی ﴿۱۲۶﴾


উচ্চারণঃ ওয়া মান আ‘রাদা‘আনযিকরী ফাইন্না লাহুমা ঈশাতান দানকাওঁ ওয়ানাহশুরুহ্‌ইয়াওমাল কিয়া-মাতি আ‘মা-{১২৪} কা-লা রাব্বি লিমা হাশারতানীআ‘মা-ওয়া কাদ কুনতুবাসীরা-{১২৫} কা-লা কাযা-লিকা আতাতকা আ-য়া-তুনা-ফানাছীতাহা- ওয়া কাযা-লিকাল ইয়াওমা তুনছা-{১২৬}


উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামী আকীদাহ ও তাওহীদ গ্রহণের পর যদি কেউ উল্লিখিত বিষয়গুলিতে নিপতিত হয়, তবে সে ঈমান হারা হয়ে যাবে। তাকে তাওবা করে নতুনভাবে ইসলাম গ্রহণ করতে হবে। তাওবার ডাক দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন,

“বলো- হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।”

[সূরা যুমার ৩৯: ৫৩]

 قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ ﴿۵۳﴾


উচ্চারণঃ কুল ইয়া-‘ইবা-দিয়াল্লাযীনা আছরাফূ আলাআনফুছিহিম লা-তাকনাভূমির রাহমাতিল্লাহি ইন্নাল্লা-হা ইয়াগফিরুয যুনূবা জামী আন ইন্নাহুওয়াল গাফুরুর রাহীম।


সুনান ইবনে-মাজহা সকল হাদীস পডুন সুনানে ইবনে-মাজাহ
আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস, দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত
বিষয়ে জানার জন্য 🌍 {হে মুমিনগণ!}🙏য়ে চ্যেনেলে দেখুন।
সহীহ্ আত্ত তিরমিযী শরীফে সকল হাদীস ভিডীও দেখার জন্য আমাদের ইউটুব চ্যেনেলে।


 

Post a Comment

0 Comments