Ticker

10/recent/ticker-posts/

আযানের ফযিলত।

আযানের ফযিলত
দৈনন্দিন জিকিরের ফযীলত 

এ বিষয়ে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, নিম্নের শিরোনামগুলিতে তার কিছু বর্ণনা করা হলোঃ

১। আযান দেয়ার মহা সম্মান:

আবু হুরাইরা এ হতে বর্ণিত, তিনি তার বর্ণনায় বলেন: রাসূলুল্লাহ স. এরশাদ করেন: যদি লোকেরা আজান দেয়া ও প্রথম কাতারে নামায আদায় করার সওয়াব সম্পর্কে অবগত হতো, তবে তাতে লটারী  অর্থাৎ আযান দেয়ায় যে কত বড় মর্যাদা ও তাতে যে কত সওয়াব নিহিত রয়েছে যদি তারা জানত, তবে তারা আযান দেয়ার জন্য লটারী করা ব্যতীত কেউ সুযোগ পেত না, কেননা প্রতি নামাযে এক মসজিদে আযান দেয়ার বিধান হলো মাত্র একবার । (দেখুন: শরহে নববী ৪/১৫৭-১৫৮।)

দেয়া ছাড়া কেউ সুযোগ পেত না । বুখারী ও মুসলিম, আযান অধ্যায়, আযানে লটারী করে সুযোগ গ্রহণ করা পরিচ্ছেদ, ৬১৫, ২/৯৬; হাদীসের অংশ বিশেষ। সহীহ মুসলিম, নামায অধ্যায়, কাতার সোজা করা পরিচ্ছেদ..., ১২৯-(৪৩১১), ১/৩২৫ নং হাদীসে অংশ বিশেষ ।


২। আযান শুনে শয়তানের পালায়ন:

জাবের এ হতে বর্ণিত, তিনি তার বর্ণনায় বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: শয়তান যখন

নামাযের আযান শুনতে পায়, তখন সে অতিদ্রুত পলায়ণ করে রুহা নামাক স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেয় ।

সুলায়মান বলেন: (সোলাইমান: তিনি হলেন: সুলায়মান বিন মেহরান আল আমাশ, আর যাকে রুহা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি বলেন: আবু সুফিয়ান ত্বালহা বিন নাফে'।

(দেখুন: শরহে নববী ৪/৯১।) তারা দুজনই হাদীসের বর্ণনাকারী।) আমি তাকে রুহা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। উত্তরে তিনি বলেন: তা হলো: মদীনা হতে ৩৬ মাইল দূরে অবস্থিত এক স্থান ।

সহীহ মুসলিম, নামায অধ্যায়, আযানের ফযিলত ও আযান শ্রবণে শয়তানের পালায়ন পরিচ্ছেদ, হাদীস নং ১৫-(৩৮৮), ১/২৯০।


৩। মুয়াজ্জিনের আওয়াজ যত দূর যাবে, ঐ পরিমাণ তার জন্য ক্ষমা রয়েছে:

৪। মুয়াজ্জিনের আযান যারা শ্রবণ করবে, কিয়ামত দিবসে তারা সবাই তার জন্য সাক্ষ্য দিবে:

(ক) আবু হুরাইরা হতে বর্ণিত, তিনি নবী (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: 

মুয়াজ্জিনের আযানের আওয়াজ যত দূর পর্যন্ত যাবে(আওয়াজের গতি যে পর্যন্ত পৌঁছবে, সে যদি উচ্চ স্বরে আযান দেয় তবে সে আল্লাহ তায়ালার পূর্ণ ক্ষমার অধিকারী হবে। অতএব, আযানের আওয়াজ যত বেশী দূর যাবে, সে তত বেশী আল্লাহর ক্ষমার যোগ্য হবে।)


ঐ পরিমান তাকে ক্ষমা করা হবে, এবং সকল প্রকার জীব ও জড় পদার্থ তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। আবার অনেকের মতে: এটিকে উদাহরণ স্বরূপ বর্ণনা করা হয়েছে: যে পর্যন্ত তার আযানের আওয়াজ পৌছবে, সে জায়গা ভর্তি যদি তার গুনাহ থাকে, তা সবই আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন। (দেখুন: আন নেহায়া ফি গারীবেল হাদীস ওয়াল আসার ৪/৩১০।)


সুনানে আবু দাউদ, উঁচু আওয়াজে আযান দেয়া অধ্যায়, ৫১১, ২/১৪৮, ২/১৪৮ হাদীসের অংশ বিশেষ। আর হাদীসের মূল শব্দগুলি তার। সুনানে নাসায়ী, আযান অধ্যায়, উচু আওয়াজে আযান দেয়া পরিচ্ছেদ, ২/১৩, এবং সুনানে ইবনে মাজাহ, আযান অধ্যায়, আযানের ফযিলত পরিচ্ছেদ, মুয়াজ্জিনের সওয়াবের পরিচ্ছেদ, ৭০৯, ১৩১ নং হাদীসের অংশ বিশেষ ।

হাফেয ইবনে হাজার ও শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। 

(দেখুন: নাতায়েজুল আফকার ১/২২৯, ও সহীহ সুনানে আবু দাউদ ১/১০৪।)


(খ) আবু সা’সা' আল-আনসারী আল-মাজেনী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: 

নবী আবু সাঈদ খুদরীকে বলেন: আমি দেখছি, তুমি ছাগল ও গ্রাম এলাকা পছন্দ কর । অতএব, তুমি যখন সেখানে থাকবে, আর নামাযের আযান দিবে তখন তুমি সুউচ্চ স্বরে আযান দিবে। কেননা মুয়াজ্জিনের আওয়াজ যতজন শুনবে, হোক সে মানুষ, জ্বিন অথবা যে কোন বস্তুই (জিন, মানুষ বা যে কোন বস্তু): হাফেয ইবনে হাজার বলেন: হাদীসের প্রকাশ ভঙ্গিতে বুঝা যাচ্ছে: জীব ও জড় সবই। নির্দিষ্ট উল্লেখের পর অনির্দিষ্ট, অর্থাৎ জিন, মানুষ অথবা যে কোন বস্তুই তা শ্রবন করুক, সবাই কিয়ামত দিবসে তার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করবে। ইবনে খুযায়মার বর্ণনাটি এটিকে সমর্থন করছে: তার আযানের আওয়াজ বৃক্ষাদি, জড়পদার্থ, পাথর, জিন বা মানুষ যারাই শ্রবণ  কিয়ামত দিবসে তারা সবাই তার জন্য সাক্ষ্য দিবে ।

করবে, তারা সবাই কিয়ামত দিবসে তার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করবে। (দেখুন: ফাতহুল বারী ২/৮৮।)

আবু সাঈদ বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ হতে এগুলি শুনেছি। সহীহ বুখারী, আযান অধ্যায়, উঁচু স্বরে আযান দেয়া পরিচ্ছেদ, হাদীস নং ৬০৯, ২/৮৭-৮৮।


৫। মুয়াজ্জিনের আযান শুনে যারা তার সাথে নামায আদায় করবে তাদের সবার সমতুল্য সওয়াব মুয়াজ্জিন লাভ করবে:

বারা বিন আযেব (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি তার বর্ণনায় বলেন: নবী এরশাদ করেন: নিশ্চয়ই প্রথম কাতারে নামাযীদের জন্য আল্লাহ তায়ালা রহমত বর্ষণ করেন, এবং ফেরেস্ত ারা ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন। আর মুয়াজ্জিনের আওয়াজ যত দূর পর্যন্ত যাবে, সে পরিমাণ তাকে ক্ষমা করা হবে। আর যারা শুনবে তাদের মধ্যে সকল প্রকার জীব-জন্তু ও জড়পদার্থ তার জন্য সাক্ষ্য দিবে। আর যারা তার সাথে নামায আদায় করবে, তাদের সমতুল্য সে সওয়াব পাবে। (মুসনাদে আহমাদ ও নাসায়ী) 

মুসনাদ, হাদীস নং ১৮৫০৬, ৩০/৪৬৬; (মুআস্স্সাসা আররিসালাহ কর্তৃক মুদ্রিত); এবং সুনানে নাসায়ী, আযান অধ্যায়, উঁচু স্বরে আযান পরিচ্ছেদ, ২/১৩০।


এ হাদীস সম্পর্কে হাফেয মুনযিরি বলেন: ইমাম আহমাদ ও নাসায় উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। (দেখুন: তারগীব ও তারহীব, নামায অধ্যায়, আযান দেয়ার প্রতি উৎসাহ ও তার ফযিলত অধ্যায় ১/১৭৬); হাফেয ইবনে হাজার হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, (দেখুন: নাতায়েজুল আফকার ১/২২৯); এবং আর নবী এর বাণী: যারা তার সাথে নামায আদায় করবে, তাদের সমতুল্য সওয়াব সে পাবে এর অর্থ হলো: যারা তার আযান শ্রবণ করে নামাযে উপস্থিত হয়েছে, তাদেরকে আহ্বানের জন্য তাদের সমতুল্য সওয়াব পাবে ।

(দেখুন: মুসনাদ টীকা ৩০/৪৬৭।( শায়খ শায়খ আলবানী হাদীসটি সম্পর্কে বলেন: হাদীসটি সহীহ লিগায়রিহী। (দেখুন: সহীহ তারগীব ও তারহীব ১/২১৪)। (মুআস্স্সাসা আররিসালাহ কর্তৃক মুদ্রিত।) 


৬। কিয়ামত দিবসে সমস্ত মানুষ অপেক্ষা মুয়াজ্জিনের গর্দান উঁচু হবে:

ইমাম ত্বাবারানী ও বাযযার বর্ণনা করেন: বেলাল হতে বর্ণিত, তিনি তার বর্ণনায় বলেন: হে আল্লাহর রাসূল! লোকেরা ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবিকা অন্বেষণ করে থাকে আমরা তো তা পারি না। তিনি বলেন: তুমি কি এতে সন্তষ্ট হবে না যে, কিয়ামত দিবসে মুয়াজ্জিনদের গর্দান হবে সবার চেয়ে উঁচু । মাজমাউয যাওয়ায়েদ হতে সংগৃহীত, নামায অধ্যায়, আযানের ফযিলত পরিচ্ছেদ, ১/৩২৬।

হাফেয হায়সামী এ হাদীস সম্পর্কে বলেন: তাবারানীর কাবীরে ও বাযযারে এ রকমই হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার বর্ণনাকারীরা সবাই বিশ্বস্ত। (দেখুন: উল্লেখিত টীকা ১/৩২৬); এবং হাফেয ইবনে হাজার হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। (দেখুন: নাতায়েজুল আফকার ১/২২৬)।

কিয়ামত বিদসে মুয়াজ্জিনদের গর্দান সবার চেয়ে উঁচু হবে, এর মর্ম সম্পর্কে হাফেজ ইবনে হাজার আটটি মতামত উল্লেখ করেছেন । আর তা নিম্নরূপ:


(ক) কিয়ামত দিবসে সবাই পিপাসিত হবে। যারাই পিপাসিত হয়, তাদের গর্দান নীচু হয়ে যায়, কিন্তু মুয়াজ্জিনরা পিপাসিত হবে না, সুতরাং তাদের গর্দান খাড়া থাকবে ।


(খ) তারা সওয়াবের প্রত্যাশায় থাকায় তাদের গর্দান লম্বা হবে ।


(গ) দুনিয়াতে আযানের সময় তারা আওয়াজ লম্বা করার ফলে তাদের গর্দান লম্বা হত, তাই কিয়ামতের দিন তাদের গর্দান লম্বা করা হবে অন্যদের থেকে যেন ভিন্নতর হয় । এত দ্বারা বুঝা যায় বাস্তবতার ভিত্তিতে তার গর্দান লম্বা রাখা হয় ।


(ঘ) সকল মানুষ স্বীয় ঘামে হাবুডুবু খাবে মুয়াজ্জিনরা তখন ঘাম মুক্ত হবে।


(ঙ) তাদের অনুসারীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশী হবে। কেননা তাদের আযানের সাড়া দিয়ে যারা নামাযে এসেছে, তারাই তাদের দলভুক্ত হবে ফলে তাদের সংখ্যা হবে অধিক ।


(চ) সকল মানুষের চেয়ে তাদের আমল হবে বেশী। কেননা এখানে গর্দান লম্বা হওয়ার অর্থ হলো: আমল লম্বা


(ছ) তারা যেন মানুষের সর্দার। কেননা আরবের লোকেরা সর্দারদেরকে লম্বা গর্দান বলে অভিহিত করত ।


(জ) তারাই সর্বাগ্রে অতি দ্রুত জান্নাতে প্রবেশ করবে। কেনান আরবীতে গর্দান লম্বা হওয়ার এক অর্থ দ্রুত চলা ।

উল্লেখিত মতামত পেশ করার পর হাফেয ইবনে হাজার বলেন: আমি ওলামাদের মতামতগুলিকেই একত্র করেছি, তবে প্রকৃত জ্ঞান আল্লাহর নিকটেই ।

দেখুন: নাতায়েজুল আফকার ১/২২৭।


৭। মুয়াজ্জিনদের জন্য নবী এর দোয়া:

ইমাম আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেন: আবু হুরাইরা এ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ এরশাদ করেন: ইমাম হলো জিম্মাদার (ইমাম জিম্মাদার) অর্থাৎ মুসল্লীদের নামায রক্ষা ও পূর্ণতায় পৌছানোর জন্য ইমাম সাহেব হলেন যামিন। (দেখুন: আউনুল মাবুদ ২/১৫২)। 

আর মুয়াজ্জিন হলো আমানতদার (আমানতদার: সমাজের লোক তার উপর ভরসা করে এবং তাকে আমানতদার ও সংরক্ষণকারী গন্য করে। অর্থাৎ মুয়াজ্জিনের আযানের সাথেই তাদের নামায পড়া ও রোযার সেহরী গ্রহণ করা ও ইফতার করার সম্পৃক্ততা মেনে নিয়ে থাকে । (দেখুন: নিহায়া ফি গারিবেল হাদীস ওয়াল আসার ১/৭১।)

হে আল্লাহ! তুমি ইমামদেরকে সরল পথ দেখাও ও মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করে দাও। (সুনানে আবু দাউদ, নামায অধ্যায়, সময়ের দিকে লক্ষ্য রাখা মুয়াজ্জিনের জন্য ওয়াজিব পরিচ্ছেদ, হাদীস নং ৫১৩, ২/১৫২; এবং জামে তিরমিজী, রাসূল হতে বর্ণিত নামায অধ্যায়, ইমাম যামিনদার ও মুয়াজ্জিন আমানতদার অধ্যায়, হাদীস নং ২০৭, ১/৫২৩। শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। 

(দেখুন: সহীহ সুনানে আবু দাউদ ১/১০৫; এবং সহীহ সুনানে তিরমিজী ১/৬৭; এবং সহীহ তারগীব ও তারহীব ১/২১৫।)


৮। প্রত্যেক প্রাণী ও জড়পদার্থ মুয়াজ্জিনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে:

ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন: ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি নবী হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী (সাঃ) বর্ণনায় বলেন: আযান শেষ হবার সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালা মুয়াজ্জিনকে ক্ষমা করে দেন। আর প্রত্যেক প্রাণী ও জড়পদার্থ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। ( মুসনাদ, হাদীস নং ৬২০২, ৯/৭২ । 

(কায়রোতে মুদ্রিত) হাফেয মুনযিরি এ হাদীস সম্পর্কে বলেন: ইমাম আহমাদ সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন, এবং তাবারানী কাবীরে বর্ণনা করেছেন। (দেখুন: তারগীব ও তারহীব, নামায অধ্যায়, আযান দেয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান ও তার ফযিলত পরিচ্ছেদ ১/১৭৫।)

শায়খ আহমাদ শাকের এ হাদীস সম্পর্কে বলেন: এ হাদীসের সনদ সহীহ (দেখুন: মুসনাদের টীকা ৯/৭২); শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (দেখুন: সহীহ তারগীব ও তারহীব ১/২১৩।)


৯। প্রতি দিন আযানের বিনিময়ে ৬০টি নেকীঃ

১০। যে ব্যক্তি ১২ বছর আযান দিবে তার জন্য জান্নাত অবধারিত:

ইবনে উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, তিনি তার বর্ণনায় বলেন, রাসূলুল্লাহ এরশাদে করেছেন: যে ব্যক্তি ১২ বছর আযান দিবে, জান্নাত তার জন্য অবধারিত। 

আর প্রতি দিন আযান দেয়ার বিনিময়ে ৬০টি নেকী, এবং প্রতিটি একামতের বিনিময়ে ৩০টি নেকী লিপিবদ্ধ করা হয় ।( সুনানে ইবনে মাজাহ, আযান অধ্যায়, আযানের ফযিলত ও মুয়াজ্জিনের সওয়াব সম্পর্কে পরিচ্ছেদ, হাদীস নং ৭১৩, ১/১৩১-১৩২।

হাফেয ইবনে হাজার হাদীসটিকে হাসান ও শায়খ আলবানী সহীহ বলেছেন।

(দেখুন: নাতায়েজুল আফকার ১/২৩১ এবং দেখুন: সহীহ সুনানে ইবনে মাজাহ ১/১২২।)

Post a Comment

0 Comments